ওয়েবসাইট কি ?
‘ওয়েবসাইট কি’?এই প্রশ্ন সবার মনেই আসতে পারে। আসলে আমরা প্রতিদিন নানা রকম বিষয় নিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দেই এবং আমাদের সামনে বিভিন্ন ধরণের আর্টিকেলের মাধ্যমে উত্তর আসে আর আমরা সেই উত্তর গুলো থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় সমাধান নিয়ে থাকি।
আসলে আমরা প্রতিদিন নানা রকম বিষয় নিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দেই এবং আমাদের সামনে বিভিন্ন ধরণের আর্টিকেলের মাধ্যমে উত্তর আসে আর আমরা সেই উত্তর গুলো থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় সমাধান নিয়ে থাকি।
চিন্তা করুন তো এই উত্তরগুলো কে দেয় বা কোথা থেকে আসে?মূলত এটাই ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট আসলে কতগুলো প্রশ্ন,সমস্যা,তথ্য,বিশ্লেষন,জ্ঞান,উত্তর,সমাধান,ইত্যাদির সংমিশ্রণ।এখানে আপনি তথ্য,বিশ্লেষণ,ছবি ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে রেজাল্ট পাবেন।
ওয়েবসাইট ধরণ বা প্রকার
আমরা যেকোনো ডিভাইস দিয়ে google,yahoo,hotmail, mozilla firefox,Bing,youtube ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিয়ে নানা রকম তথ্য নিয়ে থাকি।এক একজন এক একরকম বিষয় নিয়ে তথ্য খুঁজি। তাই ভিন্ন ভিন্ন তথ্যের জন্য কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন রেজাল্ট পেয়ে থাকি,আর এ কারণে ওয়েবসাইটের ধরণ ও ভিন্ন ভিন্ন হয়।
কেউ মোবাইলের বিষয় নিয়ে তথ্য খোঁজে ,কেউ রান্না নিয়ে,কেউ ড্রেস বা ফ্যাশন নিয়ে,কেউ পড়াশুনা নিয়ে,কেউ মার্কেটিং নিয়ে,কেউ ব্যাংক বা জব নিয়ে,কেউ শেয়ার বাজার নিয়ে,রাজনীতি নিয়ে ইত্যাদি তাই প্রতিটা বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট আছে।অর্থাৎ এখানে owner এইসব নিয়ে আর্টিকেল লিখে পোস্ট করেন,আর সেটাই আমাদের কাছে শো হয়।
ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় করা যায় ?
কেউ যদি অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে চায় তাহলে অন্য সব সাইটের মতো ওয়েবসাইট তার জন্য একটি কার্যকরী ও রিয়েল উপায়। কারণ মানুষের প্রতিদিন তার যাবতীয় প্রয়োজন গুলো অনলাইন বা ওয়েবসাইট থেকে খুঁজে বের করে।প্রতিদিন লক্ষ্য লক্ষ্য লোক ওয়েবসাইট ভিজিট করে।
আর এই ওয়েবসাইট গুলো মানুষ মানুষের প্রয়োজনে তৈরী করে বিভিন্ন ধরণের চাহিদা মেটানোর জন্য। এই ধরণের ওয়েবসাইট আমরা তৈরী করে আয় করতে পারি লক্ষ লক্ষ টাকা।কিন্তু কিভাবে, ওয়েবসাইটে যদি পর্যাপ্ত ভিজিটর আসে তাহলে গুগল সেখানে এডসেন্স দেয় মানে বিভিন্ন এড কোম্পানী গুলো তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের এড ওই ওয়েবসাইট শো করার জন্য ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে কন্টাক্ট করে টাকার মাধ্যমে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের মালিক তার ওয়েবসাইট এ বিজ্ঞাপন শো করার পারমিশন দিবে বিনিময়ে সে টাকা পাবে এতে বিজ্ঞাপন কোম্পানি গুলো তাদের পণ্যের প্রচার ও বিক্রয় বেশি করতে পারবে এবং ওয়েবসাইটের মালিক ও ইনকাম করবে। এভাবে দুজনেই লাভবান হবে।
ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করে ?
যেহেতু প্রতিদিন লক্ষ্য লক্ষ্য লোক ওয়েবসাইট ভিজিট করে,কাজেই এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করা সম্ভব।
ওয়েবসাইট তৈরী করতে হলে প্রথমেই একটা নাম বাছাই করতে হবে এবং সেই নামে ডোমেইন (Domain) রেজিস্টার আছে কিনা তা চেক করে নিতে হবে ,অর্থাৎ ডোমেইন ও হোস্টিং সিলেক্ট করে সেই রিলেটেড কীওয়ার্ড দিয়েও ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করা যায়।কীওয়ার্ড সিলেক্টের জন্য গুগল ট্রেন্ডস এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে। তবে ওয়েবসাইটের জন্য আপনার নিশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
নিশ কি ?
নিশ হলো কোনো ভিজিটর যে টার্গেটেড ওয়ার্ড বা টপিকস নিয়ে গুগল বা কোনো ব্রাউজারে সার্চ দেয় সেটা। এ ব্যাপারে বেশকিছু রিসার্চ করে নেয়া ভালো।নিশ সিলেক্ট এর জন্য বিভিন্ন ধরণের টুলস আছে।
ওয়েবসাইটের জন্য নিশ সিলেক্ট সাধারণত দুই রকম হয়,
১.প্রফিটেবল নিশ
২.ইনফোরমেটিভ নিশ
ওয়েবসাইট ফ্রি ও পেইড দুইভাবে করা যায়। ফ্রি ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন ,হোস্টিং কেনা লাগে না ,শুধু নিশ সিলেক্ট করে কাজ করা যায়। আর পেইড ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন হোস্টিং কিনে কীওয়ার্ড সিলেক্ট করে কোয়ালিটিফুল আর্টিকেল পোস্ট করতে পারলে গুগলের ranke এ থাকে ও ভিজিটর আসে এবং গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয়। তবে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আর্টিকেল পোস্ট করতে পারলে ভিজিটর বেশি পাওয়া যায়।পেইড ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস বা অন্য সফটওয়্যার দিয়ে করা যায়।
ওয়েবসাইট কিভাবে গুগল এডসেন্স পাওয়া যায় ?
আসলে ওয়েবসাইট থেকে গুগল এডসেন্স পেয়ে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই গুগলের রুলস এবং তাদের terms & condition গুলো ফলো করতে হবে। গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য অবশ্যই এস ই ও ফ্রেইন্ডলী আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে,কীওয়ার্ড গুলো রিসার্চ করে পাওয়ারফুল কীওয়ার্ড সিলেক্ট করে এস এ ও করে ওয়েবসাইট google এ rank আনতে হবে।
ওয়েবসাইট এডসেন্স পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু রুলস মেইনটেইন করতে হবে যেমন:
১. অনপেজ এস ই ও:
অনপেজ এস ই ও মানে ওয়েবসাইটের ভেতরগত কাজ সেটআপ অর্থাৎ থিম সেটিংস,ক্যাটাগরি,সাবক্যাটাগোরি সেট,প্লাগিন অ্যাড,ইত্যাদি সেটিংস গুলো কাস্টোমাইজ করে অনপেজ সাজানো হলো অনপেজ এস ই ও এর কাজ।মানে একটি ওয়েবসাইট কে প্রফেশনাল লুকে প্রেজেন্ট করা হলো অনপেজ এস এ ও।
2.অফপেজ এস ই ও:
অফপেজ এস ই ও হলো এস ই ও এর সবচেয়ে importent পার্ট।কারণ অফপেজ এস ই ও তে ব্যাকলিংক এর কাজ করা হয় যা একটি ওয়েবসাইট কে google এ rank করার ও ওয়েবসাইট এর domain authority ও page authority বাড়াতে সাহায্য করে। অফপেজ এস ই ওবা ব্যাকলিংক করার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি আছে যেমন ডিরেক্টরি সাবমিশন ব্যাকলিংক,প্রোফাইল ব্যাকলিংক,ফোরাম ব্যাকলিংক,কমেন্ট ব্যাকলিংক,গেস্ট পোস্ট ব্যাকলিংক,ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংক ইত্যাদি।এই কাজ গুলো নিয়ে google,youtube,অনেক ভিডিও বা অনলাইনে অনেক টিউটোরিয়াল আছে ,সেখান থেকে শেখা যায়।
মার্কেটপ্লেসে ওয়েবসাইটের চাহিদা কি ?
মার্কেটপ্লেসের কথা বলতে গেলে বলতে হয় ওয়েবসাইটের কাজের প্রচুর ডিমান্ড আছে ,বিশেষ করে এস ই ও এর কাজ ,কারণ যেকোনো একটি বিজনেস শুরু বা কোনো কোম্পানির পরিচিতি প্রোডাক্ট পরিচিতি ও প্রচার কাজের জন্য ওয়েবসাইট থাকাটা আবশ্যক কারণ ইন্টারনেট নির্ভর সময়ে সবাই তো নিজের প্রয়োজনীয় সবকিছু সার্চ করে A -Z দেখে শুনে ক্রয় বা বিক্রয় করে। তাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে পণ্যের ক্রয়,বিক্রয় লাভ ,ক্ষতি হিসাব নিকাশে ওয়েবসাইট অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। সুতরাং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এই ধরণের কাজের অনেক চাহিদা আছে তাছাড়া ক্লাইন্ট তার নিজের ওয়েবসাইটের জন্য অনপেজ বা অফপেজ এস ই ও এর কাজ ফ্রীল্যান্সিং এর মাধ্যমে বা ফ্রীলান্সারদের দিয়ে করিয়ে থাকেন।
সর্বোপরি বলতে হয় ওয়েবসাইট আপনার বিজনেসকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে খুব দ্রুত।আশা করি এই বিষয় আরো অনেক তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন।
Leave a Reply