অনলাইন টিউটোরিয়াল কি ?
অনলাইন টিউটোরিয়াল বিষয়টা হলো কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাহায্যে যেকোনো জায়গায় ,যেকোনো সময় কোনো বিষয়ের সার্ভিসে দেয়া বা নেয়া। আগের দিনে কাউকে কোনো বিষয় শেখার জন্য সরাসরি কোনো টিচার বা প্রতিষ্ঠানে যেতে হতো কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এইসব সার্ভিসে এখন সবাই ঘরে বসে পাচ্ছে যা সকলের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য।
ইংলিশে টিউটর শব্দের অর্থ গৃহ শিক্ষক আর টিউটোরিয়াল অর্থ গৃহশিক্ষকতা করা।অর্থাৎ ঘরে বসে শেখা বা শেখানো।যারা এই ধরণের সার্ভিস দেয় তাদের বলে টিউটর।
অনলাইনে টাকা আয়ের সেরা উপায় এর ক্ষেত্রে অনলাইন টিওটোরিয়াল এর ভূমিকা কি?
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এই দিনে মানুষ সকাল-সন্ধ্যা কোনো না কোনো ভাবে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ও নির্ভরশীল।অনলাইনে এখন কেনাকাটা,ভ্রমন করা, ইনকাম করা, রান্না করা, চিকিৎসা সেবা,কোনো বিষয়ে তথ্য জানাসহ সকল বিষয় অনলাইন থেকে পাওয়া যায়।এমনকি বর্তমানে অনলাইনে পড়াশোনাও করানো হয়।
করোনাকালীন পরিস্থিতিকে সারা বিশ্ব যখন স্থবির হয়ে পড়ে তখন এই অনলাইনই ছিল প্রধান রাস্তা যেখান থেকে মানুষ সব ধরনের সার্ভিস নিয়েছে ফলে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি এবং সবাই আরো বেশি অনলাইন ভিত্তীক কাজে আগ্রহী হয়ে পড়ে। আর তাই মানুষের আর্থিক লেনদেন অনলাইনের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে।
অনলাইন টিউটোরিয়াল(Online tutorial) থেকে কিভাবে ইনকাম হবে?
সবাই ভাবতে পারে অনলাইনে টাকা আয়ের সেরা উপায় এর ক্ষেত্রে অনলাইন টিওটোরিয়াল কিভাবে সাহায্যে করে?
হ্যা,অবশ্যই ভূমিকা আছে।এমন অনেক লোক আছে যারা বিভিন্ন এডুকেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করে ও ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে স্কুল কলেজের পড়াশুনার যাবতীয় কার্যক্রম যেমন:অধ্যায় ভিত্তিক ভিডিও আপলোড করে,পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে, রেজাল্ট পাবলিশ করে।এমনকি বিভিন্ন এ্যাপসের মাধ্যমে লাইফ ক্লাস করায়।আবার ছোট বড় বিভিন্ন ধরণের ফ্রি বা পেইড কোর্সের ব্যবস্থা ও আছে।
অনলাইন টিউটোরিয়ালের সুবিধা কি?
আজকাল অনলাইনে সব ধরণের বিষয় নিয়ে টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। আবার লাইভের মাধ্যমে অনেক ক্লাস বা শো হয় বলে মানুষকে বাইরে গিয়ে অনেক কিছু শিখতে হয় না ,এর ফলে অনেক সময় ও খরচ বেঁচে যায় যা অন্য কাজে ব্যাবহার করা যায়। আবার পড়াশুনার ক্ষেত্রে অনেক দুর্বল শিক্ষার্থী অনলাইন টিউটোরিয়াল দেখে বারবার প্র্যাকটিস করতে পারে এবং রেজাল্ট ভালো করে। আবার অনেক সময় অনলাইনে এক্সাম ও দেয়ার ব্যাবস্থা আছে।
এভাবে অনেকেই অনলাইনে অডিও,ভিডিও তৈরি ইউটিউব,ফেইসবুক,ওয়েবসাইট এ আপলোড করে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করে।
তাছাড়াও ওয়েবসাইট বা চ্যানলে রান্না বিষয়ক,টেইলরিং,গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ে,ফ্রীল্যান্সিং,সমসাময়িক বিষয়বস্তু নিয়ে, মার্কেটিং বিষয়ে,ভ্রমণ বিষয়ে,রাজনীতি বিষয়ে, স্বাস্থ্য বিষয়ে,ফানি ভিডিও, কার্টুন ভিডিও বা যেকোনো প্রফেশনাল বিষয়ে টিওটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা যায়।আমাদের দেশের নারী পুরুষ এমনকি ছাত্রছাত্রীরা ও এখন এই সার্ভিস থেকে উপকৃত হচ্ছে পাশাপাশি আয় করছে।
সেক্ষেত্রে প্রত্যেক বিষয় বা ক্যাটাগরির জন্য আলাদা ওয়েবসাইট ও চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে।
এইসব ওয়েবসাইট বা চ্যানেলগুলোতে যত বেশি ভিজিটর আসবে ও যত বেশি ওয়াচ টাইম কাউন্ট হবে,যতবেশি সাবস্ক্রাইব হবে তাদের ইনকাম তত বেশি হবে।
তাছাড়াও ফেসবুক পেইজের মাধ্যমেও বিভিন্ন শিক্ষনীয় ও ফানি টিউটোরিয়াল ভিডিও, লাইফস্টাইল রেসিপি ভিডিও আপলোড করে ফলোয়ার ও ওয়াচ টাইম বাড়িয়ে ইনকাম করা যায়।
এইসব ওয়েবসাইট বা চ্যানেলের ওনার নিজের ব্যাক্তিগত কিছু ইনফরমেশন দিয়ে পেপাল বা পেওনিয়ার একাউন্ট তৈরি করে এবং অর্জিত ডলার সেই একাউন্টে জমা হয়। এই অর্জিত অর্থ নিজের ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে।
মোটকথা অনলাইনে টাকা আয়ের সেরা উপায় এ একটি ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে এই অনলাইন টিওটোরিয়াল প্ল্যাটফর্মে।এটা এক অর্গানিক পথ যেখানে নিজের মেধা ও দক্ষতাকে ব্যবহার করে আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজের আয়ের পথ তৈরি করে যা দেশের অর্থনীতিতে অগ্রণী ভুমিকা রাখছে।
আর যে কেউ চাইলে অনলাইনে টাকা আয়ের সেরা এই উপায়টি বেছে নিতে পারে।
Leave a Reply